শফিউল আলম,বিশ্বম্ভরপুর :সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ফতেপুর ইউনিয়নের বাগুয়া নৌকা তৈরির গ্রাম হিসেবে পরিচিত।গ্রামের অনেকেই বর্ষা মৌসুমে এ পেশাকে কাজে লাগিয়ে নৌকা বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করেন।তারা সপ্তাহে দু দিন শনি ও মঙ্গলবার নৌকা বিক্রির জন্য যান তাহিরপুর উপজেলার কাউকান্দি বাজারে।
বর্ষার শুরু থেকে উপজেলার দক্ষিণ বড়দল ইউনিয়নের কাউকান্দি বাজারে বসে নৌকার হাট।প্রতি সপ্তাহে শনি ও মঙ্গলবারে বসে এ নৌকা বিক্রির হাট।জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে আসেন ক্রেতা-বিক্রেতা। বাগুয়া গ্রামের মিস্ত্রিরা নৌকা বিক্রির জন্য যান কাউকান্দি বাজারের এ হাটে।
এদিকে তাহিরপুর উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের ২৪৯টি গ্রামের মানুষের যাতায়াতের বাহন নৌকা। বর্ষা মৌসুমে নৌকা ছাড়া কোথাও যাওয়া যায় না। কোন কোন গ্রামে এক বাড়ি থেকে অন্য বাড়ি যেতে হলেও নৌকা প্রয়োজন।তাই বাধ্য হয়েই তারা নৌকা ক্রয় করেন।
কাউকান্দি বাজারে নতুন,পুরাতন সব ধরনের নৌকাই ক্রয়-বিক্রয় হ
উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের অনেক মানুষই উন্মুক্ত জলাশয়ে মাছ ধরে জীবন-জীবিকা নির্বাহের জন্য নৌকা ক্রয় করেন। এছাড়াও
স্কুল-কলেজ,মাদ্রাসা,হাটবাজার,ও উপজেলা সদরে যাতায়াতের জন্যও নৌকা তাদের বাহন।
দক্ষিণ বড়দল ইউনিয়নের বড়দল
বাগবাড়ি গ্রামের মৃত.মতিবুর রহমানের ছেলে মো.সারওয়ার বলেন,বর্ষার সময়ে আমাদের ৬-৭ মাস নৌকায় যাতায়াত করতে হয়।
নৌকা ব্যতিত যাতায়াতের কোন ব্যবস্থা না থাকায় মানুষ বাধ্য হয়ে এ বাহনে যাতায়াত করে।নৌকা ক্রেতা,ধুতমা গ্রামের সুরুজ মিয়া বলেন, ২৫০০ টাকায় নৌকা ক্রয় করেছি। কাউকান্দি বাজারে চাহিদা মত নৌকা পাওয়া যায়।
বাগুয়া গ্রামের নৌকা মিস্ত্রি মো.ইমাম হোসেন বলেন,আমরা ৩ জনে নৌকা তৈরি করে বর্ষা মৌসুমে বিক্রয় করি। এসময়ে আমাদের ১লক্ষ টাকা উপার্জন হয়।কোন কোন সপ্তাহে ২-৩ ছোট নৌকা তৈরি করতে পারি।
ইজারাদার বাচ্ছু মিয়া বলেন,গত কোরবানির ঈদের পর থেকে নৌকা ক্রয়-বিক্রয় কম হচ্ছে। তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.রায়হান কবির বলেন নৌকা ক্রয়-বিক্রয় যেহেতু উপজেলার মানুষের জীবন জীবীকার সাথে সম্পৃক্ত তাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে অন্যান্ন কাঁচা বাজারের মত বসছে এ নৌকার হাট।
কমেন্ট করুন